আবীর হাসান স্বাধীন :
শহীদ নূর হোসেন দিবসে কুষ্টিয়া জেলা গণআধিকার পরিষদের অঙ্গ সংগঠন র্্যালি ও সমাবেশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা। ১৯৮৭ সালের ১০ই নভেম্বর এই দিনে পুলিশের গুলিতে নিহত হোন নূর হোসেন।
র্্যালি শেষে যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ তিয়াস বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সামরিক স্বৈরশাসক জেনারেল এরশাদের পতনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলো। জনগণের ভোট ছাড়া ক্ষমতায় থাকা স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পতনেও নূর হোসেনের মতো অসংখ্য মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন । আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে এই স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের এই বাংলায় থাকতে দেওয়া হবে না। মানুষকে তার হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেবো ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবো। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে দেশের জনগণকে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে সারা দেশে সংঘবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
যুব অধিকার পরিষদ কুষ্টিয়া জেলার আহ্বায়ক জিলহজ খান বলেন, নূর হোসেনের আত্মত্যাগ ৯০ এর গণআন্দোলনকে বেগবান করেছিলো। আওয়ামী লীগ নূর হোসেনকে যুবলীগের কর্মী দাবি করলেও আওয়ামী লীগই নূর হোসেনের রক্তের সাথে বেঈমানি করে সামরিক স্বৈরশাসক এরশাদের সাথে জোট করেছিলো।স্বৈরাচার এরশাদের জোট করে তারা মহা স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছিল, জনগণের ভোটাধিকার, ভাতের অধিকার চাকরির অধিকার বাক স্বাধীনতা কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্র ধ্বংস করেছিলো।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরেও বাংলাদেশকে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে না পারা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যর্থতা বিদ্যমান রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের। তাই আগামীতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতেই আমাদের গণঅধিকার পরিষদ ওয়াদাবদ্ধ। নূর হোসেনের আত্মত্যাগের চেতনাকে ধারণ করে গণঅধিকার পরিষদ একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে কাজ করে যাবে।