নিজস্ব প্রতিবেদক :
ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগের হাইব্রিড নেতারা গা-ঢাকা দিয়েছেন। তবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা এখন খোলস পাল্টিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশে বিএনপির কর্মী হওয়ার পায়তারা করছেন বলে জানাগেছে ।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এমনি তথ্য পাওয়া গেছে , জোট সরকারের সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়ন ৪মাইল এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল গনি মেম্বার ও তার ছেলে মোশাররফ হোসেন ছিলেন বিএনপির পদধারী নেতা।
এরপর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে সুযোগ সন্ধানী আব্দুল গনি মেম্বার ও তার ছেলে মোশাররফ হোসেনসহ তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগে যোগদান করে।
আওয়ামীলীগের নেতাদের সাথে থেকে বিএনপির বিরুদ্ধে কঠোর হয়
সকল কার্যক্রমে অংশ গ্রহন করে ছিলো।
এই মোশারফ হোসেন বিএনপির সকল কর্মসুচিকে নস্যাৎ করতে মাঠে থেকেছেন বিএনপির নেতাকর্মীদের মারধর ও পার্টি অফিস ভাংচুর করেছিলো।
সরকার পতনের আন্দোলনের সময় মোশাররফ তার বাহিনী নিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করতে দেখা গেছে ।
সরকার পতনের পর এই মোশাররফ এখন বিএনপির কর্মী সাজার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানাগেছে।
বিএনপির পদের আসায় এখন নেতাদের পিছনে ঘুরতেও দেখা যাচ্ছে।
এবিষয়ে মোশারফের কাছে জানতে চাইলে বলেন, আমি একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসাকে টিকিয়ে রাখতে নেতাদের সাথে সম্পর্ক রাখতে হয়। আর আমি বিএনপির পদপদবীর কারোর পিছনে জন্য ঘুরছি না।
এবিষয়ে জেলা কুষ্টিয়া বিএনপির এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন তাদেরকে দলের সাধারণ কর্মী হিসেবেও রাখা হবে নাহ্।