ছাতক প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের ছাতকে ইসলামপুর ইউনিয়নের নামে নদীপথে চাঁদাবাজি এবং সংবাদ সম্মেলনে বৈধ ইজারাদারদের নাম ধরে মিথ্যাচার ও মানহানিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকেলে ছাতক পাথর ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের পিয়াইন নদীর শেরপুর ও নিজগাঁও মৌজার ইজারাদার সুজন মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে ইজারাদার সুজন মিয়া বলেন, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ ও সুনামগঞ্জের ছাতকের এলাকা নিয়ে পিয়াইন নদী ও সুরমা নদী অবস্থিত। ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুফি আলম সোহেলসহ গংদের নেতৃত্বে ১০-১২জনের একটি চাঁদাবাজ চক্র গড়ে উঠেছে। চাঁদাবাজরা প্রতিদিন ২-৩ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করে আসছে। ওই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদের পেড ব্যবহার করে দুই বছর ধরে অবৈধ ভাবে চলমান নদীতে প্রতিটি কার্গো, বাল্কহেড থেকে এক হাজার টাকা করে আদায় করছে চাঁদা। ইউনিয়ন পরিষদের রশিদ দিয়ে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় চেয়ারম্যান পক্ষের লোকজন কর্তৃক পিয়াইন নদী বালু মহাল ইজারাদার, সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চাটিবহর আমবাড়ি গ্রামের তৈমুছ আলীর ছেলে ওই সুজন মিয়া ও ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বুলবুল আহমদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, গেল ৭ জুলাই ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইজারাদারদের নাম ধরে মিথ্যাচার ও মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছেন। নদ-নদীতে কারা চাঁদাবাজি করছে এসব ঘটনা কোম্পানীগঞ্জ, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ অবগত আছেন উল্লেখ করে বলেন, চেয়ারম্যান কর্তৃক ক্ষমতার অপব্যাবহার করে সীমান্তের বিভিন্ন চোরাচালানিদের কাছ থেকে অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন। এসব অবৈধ কর্মকান্ড আড়াল করতে ছাতক, কোম্পানীগঞ্জের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও মনগড়া বক্তব্য দিয়েছেন। এসব বক্তব্যের তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। ভবিষ্যতে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এধরণের মিথ্যা বানোয়াট মানহানিকর বক্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবান জানান। অন্যতায় ব্যবসায়ীদের নিয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়। এসময় ব্যবসায়ী বুলবুল আহমদসহ একাধিক ব্যবসায়ীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।